Saturday, February 12, 2011

অন্তুর আজো খেলতে ইচ্ছে করে।

অন্তু প্রতিদিন এই সময়টায় আকাশ দেখে। সকালের সূর্যটা আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠতে থাকে... আলোয় ভরে উঠে চারপাশটা। গাছগুলোর পাতার ফাঁকে ফাঁকে আলো তার ঘরের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে...তার গায়ে আদর মেখে দেয়। অন্তু জানালার পর্দা মেলে দেয়, যেন সবটা আলো তার চাই-ই চাই।

আজও অন্তু আকাশ দেখছিল। মাঝে মাঝে অন্তু ভাবে, তার একটা ক্যামেরা থাকলে মন্দ হত না...দু-চারটা ছবি তুলতে পারতো। একটা ক্যামেরা তার অবশ্য আছে ঠিকই, কিন্তু ওটার ফিল্ম কিনতে হয়। অন্তুর ফিল্ম কেনার ঝামেলাটা ঠিক পছন্দ না। আজ অন্তু বাবাকে একটা ক্যামেরার কথা বলবে, অন্তত ঈদের সময় পেলেও খারাপ হবেনা ব্যাপারটা।

"কিরে, রুটিন ওয়ার্ক করছিস?"

Friday, February 11, 2011

সাবধান ! এই খানে ঝগড়া চলতাছে !

-তাহলে তুমি চলে যাচ্ছ?
-হ্যা।
-তোমার আর কিছু বলার নেই?
-আর কিছু কি বলার থাকবে? আর কিছুই বলার নেই।
-কেন থাকবে না? আমার কি দোষ সেটা বল...
-দোষ? না না, তোমার দোষ থাকবে কেন? দোষ তো সব আমার!
-রাগ করছ কেন? আমি তো বললামই যে তারিন আমার বান্ধবী।
-বান্ধবী? শুধু বান্ধবী? হল না আজিজ, বলো অন্তরঙ্গ বান্ধবী!
-অহ্‌ হো...আচ্ছা, একটু বোঝার চেষ্টা করো না প্লিজ। কতবার এই এক কথা বলতে চাও তুমি?
-কতবার মানে? হাজারবার বলবো, লাখ লাখ বার বলবো, তাতে তোমার কি? তোমার কি?
-আচ্ছা বল। বলতে থাক।
-বলবোই তো, তোমার ইচ্ছে মতো তো আর জীবন চলে না...
-হুম, চলে তোমার ইচ্ছেমতো।
-কি বললে? কি বললে তুমি? এত বড় কথা!!
-কই নাতো! মাত্র পাঁচটি পূর্ণ শব্দ "তোমার কথায় আমার জীবন চলে।"
-কি বলতে চাও তুমি?  আমার কথায় জীবন চলে মানে?
-জীবন চলেই তো...তোমার কথা ছাড়া আমি এক পাও এগুতে পারি নাকি?
-মানে কি!! আমি তোমাকে আটকে রাখি, হ্যা ?বরং আমি তোমার কথায় ...

"দাড়ান দাড়ান ভাই। এইখানে হইতেছে টা কি!! কথা কয় কেডা?"
"এইখানে ঝগড়া হইতেছে ভাই...স্বামী-স্ত্রীর ক্যাচাল।"
"ও। আচ্ছা...এরা হুদা হুদা ঝগড়া করতাছে ক্যান?"
"খাড়ান, হুইনা লই?"
"আইচ্ছা।"

-বিয়ে করার আগে তুমি প্রেম করোনি? সব কি আমি একাই করেছি?
-হ্যা করেছ, তুমি একাই করেছ। তোমার মতো এমন ছেলে আমি আর ইহজীবনে দেখি নাই।
-তা দেখবা কেমনে? দেখবা খালি  টিভি সিরিয়াল...
-এখন আমার টিভি সিরিয়াল নিয়েও টানাটানি? একটু টিভি সিরিয়াল না দেখলে আমি করবোটা কি?বাসায় বসে বসে আর কি করার থাকতে পারে আমার?
-(ওই...সিরিয়াল শুরু হয়ে গেল...)
-সকাল বেলা থেকে রাত অবধি আমার বাসায় খালি আমি থাকি...
-(হাসি)তোমার বাসায় আর কে থাকবে...?
-আজিজ! আমি সিরিয়াস কথা বলছি!!
-আচ্ছা বল।
-কি বলবো আর? আমার আর কোন কথা নাই। আরও অনেক কথা আগেই বলেছি, এবার আর বলার কিছু নাই।
-এভাবে রাগ না করলে হয় না?
-না হয় না। আমি গেলাম।

" হায় হায়, রাগ কইরা চইল্যা যাইতাছে তো!"
"হুম...তাই তো দেখতাছি...মহিলা খুবই খেপা।"
"ওই ব্যাটা বুঝাইলেই তো পারে..."
"আরে মিয়া, বুঝাইতেছে তো...লাভ হইতাছে না..."
"আহারে..."

-নীপা, প্লিজ...আচ্ছা আমি আর কোনদিন আমার মেয়ে বান্ধবিদের সাথে কথা বলবো না।
-পুরনো কথা।
-আর কোনদিন তোমার রান্না নিয়ে কথা বলবো না।
-হা হা Bad Joke...
-সামনের ছুটিতে আমরা তোমাদের বাসায় যাবো।
-জানুয়ারীতে জুনের ছুটির অজুহাত দেখিয়ো না। সরো।
-আহা নীপা শোন...আজকে অফিসে যাব না, বাসায় থাকবো।
-লাগবে না।
-নাহয় গেলামই টিএসসিতে...
-ফালতু প্যাচাল বন্ধ করো না প্লিজ! আমাকে যেতে দাও।
-নীপা, আমি তোমাকে ভালোবাসি।

"আয় হায় দেখেন ভাই, মহিলা হাসতাছে!"
"হ তাই তো দেখতাছি...মিল হইয়া গেল।"
"এই কথাটা আগে কইলেই তো আর কোন প্রবলেম ছিল না..."
"আসলেই...আগে কইলেই এত্ত কাহিনী হয় না।"
"ভাই...তয় আরেক খান কথা, লাগছিল কি নিয়া?"
"ভ্যালেন্টাইনস্‌ ডে নিয়া।"
"মানে?"
"আরে ভ্যালেন্টাইনস্‌ ডে তে মহিলারে টি এস সি তে নিয়া যাইবো না কেন হেইডা লইয়া।"
"ও...আচ্ছা ভ্যালেন্টাইনস্‌ ডে টা কি ভাই?"
"জানেন না? আচ্ছা, ব্লগটা বন্ধ করেন, কইতাছি..."




এই লেখার সর্বস্বত্ব লেখকের ।এই লেখা লেখকের অনুমতি ব্যাতীত প্রকাশ,মুদ্রণ,অনুলিখন কিংবা কোন রচনায় প্রকাশ করিলে লেখক আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে বাধিত হইবেন।লেখকের মৃত্যুর পর লেখাগুলির সর্বস্বত্ব লেখকের পরিবারের।

ঘুমনামা

মাঝে মাঝে মনে হয় আমি একা বসে আছি। একটা খালি মাঠের এক কোনে, বিলের পাশের নিচু ঢালে। শুয়েও পড়তে পারি, যদি ইচ্ছে হয়। তারপর কি করব জানি না। আমি অ...