Sunday, June 6, 2010

ফেসবুক চালু প্রসংগ ও একটি নিখোঁজ সংবাদ।

বেশি কিছু লিখতে পারছিনা আজকে। দুটো খবর দেব।আজকে সকালবেলা পত্রিকায় দেখি ফেসবুক খোলা হয়েছে।আমার কাছে কখনই বন্ধ ছিলোনা (প্রক্সি সার্ভার গুলোর বদৌলতে) কিন্তু সার্বজনীনভাবে ,কিংবা বলা যায় আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেবার জন্য বিটিআরসিকে একটু সাধুবাদ জানাই (কারণ না খুলে দিলে হয়তো slow চালাতাম যেটা দিয়ে চালাতে বিরক্ত লাগতো)।
সবাইকে বলি,স্বাধীনতার মানে তো নিজেদের দুর্বলতাকে প্রকাশ করা নয় ( যেটা আমাদের দেশের সকলেই করেন )। স্বাধীনতার মানে সবাইকে স্বাধীন করা, আমাদের মনের অন্ধকারের মাঝে পবিত্রতার ছোয়া বুলিয়ে দেয়া, যাতে আমাদের মাঝে আলো আসে, জ্ঞানের আলো। আর কেউ যদি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে, তবে তাকে ঠেকাও। কারণ তার জন্য তো অন্য সবাই পরাধীন হয়ে যাচ্ছে, তাইনা?

শেষের খবরটা একটু কষ্টের। কিছুক্ষন আগে গিয়েছিলাম মুদি দোকানে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই শুনলাম একটা হারিয়ে যাবার খবর। একটা তাজা প্রাণ কিছুক্ষন আগে হারিয়ে গেছে। সে হারিয়ে গেছে, সকলকে ছেড়ে চলে গেছে। কেনো গেছে জানতে চান ? সে গেছে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া তার প্রিয় দলের জন্য। আর তাকে কি দোষ দেয়া যায়, বলো ? ওতো কেবল একটা পতাকা টানাতে গিয়েছিলো...ওর হাত যে বৈদ্যুতিক তারের সাথে লেগে যাবে তা কি কেউ ভেবেছিলো ? সে খালি চেয়েছিলো তার দল যেন জেতে, সে তো চেয়েছিলো তার ছোট মেয়েটার সাথে খেলা দেখবে, প্রিয় দলের বিজয়ে আনন্দে নিশান ওড়াবে...। আর হলো কই তার খেলা দেখা?

শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন।

Friday, June 4, 2010

নিমতলী ট্র্যাজেডি...কেন এমন হয়?

কালকে রাতে আমি সন্ধ্যায় বাসায় আসি; একটু ঢাকা নিউমার্কেট গিয়েছিলাম। গোসল করে একটু টিভির চ্যানেলগুলো ঘুরাচ্ছিলাম। এটিএন নিউজ এ নিউজ বারে চোখ পড়তেই দেখি, কায়েতটুলী এলাকায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের কারণে আগুন লেগেছে।(picture courtesy: Prothom alo)

আমার খালার বাসা কায়েতটুলীতে। তাড়াতাড়ি বাবাকে বললাম , আম্মা যেন একটা ফোন করে খালাকে। ওদিকে আমার অন্য আরেক খালা ফোন অরে বললেন, ওই খালার বাসার পাশেই আগুন লেগেছে। একটু আতংকিত হলাম।বার বার চ্যানেলগুলো বদলাতে লাগলাম আর খবর দেখতে লাগলাম।

যা দেখলাম, তা আসলেই ভয়াবহ। ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লাগে একটা বাড়ির নিচে গোডাউনে।ওখানে রাখা দাহ্য পদার্থ আগুন আরো বাড়িয়ে দেয়।ওই বাসায়, কিংবা বাসার আশেপাশে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিলো।সে বাড়ির কি অবস্থা হয়েছে তা কি ভাবা যায়?

ওই বাড়ির ২ টি রুমেই মারা যায় ৪৭ জনের লাশ। আগুনের লেলিহান শিখা আর দম বন্ধ করা ধোয়াঁ এতগুলো প্রাণ কেড়ে নিলো।ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আসলেও পানির সঙ্কট, ছোট রাস্তা, আর উৎসুক জনতার কারণে যা করণীয় তা করতে পারেনি, লাশ উদ্ধার আর ঘটনার শেষে আগুন নেভানো ছাড়া তেমন কিছুই করতে পারেনি।

হাস্পাতালে দেখা গেলো এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে কেবল লাশ আর লাশ...অগ্নিদগ্ধ মানুষের লাশের সারি। নিহতদের স্বজনরা শুধু নয় হাসপাতালে থাকা যে কেউ মানুষ-ই এই দৃশ্য দেখে চোখের জল সামলাতে পারেনি।এমনকি হাসপাতালের একজন সেবিকা এই মৃতদের কাতারে শামিল হয়েছিলেন।

রাত যত বাড়ছিল, লাশের সংখ্যা আরো বাড়তে লাগলো।মানুষের আহাজারি শুনে মন যে কতটা খারাপ হচ্ছিল, তা বললে বুঝাতে পারবোনা।খালারা নিরাপদে ছিলেন,তাদের কোন problem হয়নি, কিন্তু এতোগুলো মানুষের হাহাকার শুনে কি যে বিষাদময় লাগছিলো, তা বলে বোঝানো যাবে না।

আজ সকালে আবার দেখলাম ওই ভবনগুলোর অবস্থা...পুরো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। কাল রাতে যেন কেয়ামত হয়ে গিয়েছে এখানে। বিয়ে বাড়িতে খাবার আছে, কিন্তু সে খাবার যাদের জন্য রান্না করা হয়েছিলো, তারা তো আর নেই।

তারা আর আসবেনা। আমাদের কে অশ্রুসজল করে তারা ছলে গেছেন দূরে, অনেক দূরে। তাদের জন্য আমাদের সমবেদনা থাকল। আসুন, আমরা এই জাতীয় শোককে শক্তিতে পরিণত করি।

Tuesday, June 1, 2010

আসছে বিশ্বকাপ, আপনি সমর্থন করছেন কাকে?

ইদানীং রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় প্রায়ই দেখি বাসার ছাদে, দোকানপাটের জানালার কাঁচের ভেতরে কিংবা গাড়ির ফ্ল্যাগস্ট্যান্ডে পতাকা ঝুলছে।:)..না, সুবার দেশপ্রেম হঠাৎ করে বেড়ে যায়নি, কারণ এগুলো আমাদের দেশের পতাকা নয়।বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া দেশের পতাকা।


2010 FIFA World Cupবিশ্বকাপ ফুটবল ২০১০ শুরু হতে যাচ্ছে আর কয়েকদিন পর।অলিম্পিকের পর বোধহয় এর চেয়ে বড় কোন অনুষ্ঠান আছে বলে আমার জানা নেই। এ যেন শুধু ফুটবল নিয়ে যুদ্ধ ! বাছাই পর্বের তুমুল প্রতিদ্বন্দীতার পর ৩২ টি দেশ সুযোগ পায় যুদ্ধের ময়দানে হাজির হবার। তারপর মাসব্যাপী টানটান উত্তেজনায় ভরপুর প্রতিযোগীতা শেষে শেষ হাসি হাসে চ্যাম্পিয়ন দেশের কোটি কোটি মানুষ।




এই বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের দেশের মানুষের উত্তেজনার মাত্রাটা ৩২টা দেশের মানুষের তুলনায় কোন অংশেই কম নয়।আমরা ফিফা ওয়ার্ল্ড রেটিং-এ নিচের দিকে অবস্থান করছি। সাম্প্রতিক সময়েও আমাদের পারফর্মেন্স আশাব্যাঞ্জক নয়।কিন্তু বিশ্বকাপে আমাদের কোন অংশগ্রহণ না থাকলেও আমরা ওই বড় দলগুলোকে সাপর্ট করছি,মনে প্রাণে। পাশের বাড়ির ইব্রাহিম কাকা থেকে শুরু করে পাড়ার মুদি দোকানদার কামাল ভাই পর্যন্ত কোননা কোন টীম সমর্থন করছে। পতাকা বিক্রেতারা রাত-দিন পতাকা বিক্রি করছে দেদারছে; ছোট ছোট ছেলেরা জার্সি আর ফুটবলের জন্য বায়না ধরছে নিয়মিত।


এই বিশ্বকাপের মত বড় একটা টুর্নামেন্ট আমাদের মাঝে যে প্রাণের স্পন্দন এনে দেয় তা যেন আমাদের সবাইকে উজ্জীবিত করে। আমরাও যেন স্বপ্ন দেখি, একদিন আমাদের দেশ বিশ্বকাপ ফুটবলে না হোক, ক্রিকেটে যেন আমরা গর্জে উঠতে পারি। স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নেই, তাই না?

ঘুমনামা

মাঝে মাঝে মনে হয় আমি একা বসে আছি। একটা খালি মাঠের এক কোনে, বিলের পাশের নিচু ঢালে। শুয়েও পড়তে পারি, যদি ইচ্ছে হয়। তারপর কি করব জানি না। আমি অ...