Wednesday, August 25, 2010

সল্ট, ট্রেজার আইল্যান্ড ও অন্যান্য।

সল্ট ছবিটা দেখলাম। এঞ্জেলিনা জোলির সর্বশেষ ছবি।এজেন্ট এভ্‌লিন সল্ট রাশিয়ার একটি গুপ্ত সংস্থায় প্রশিক্ষণ পায়। একটি মেয়ের বদলে ছদ্মবেশে সে আমেরিকায় প্রবেশ করে। বড় হবার পর তার পুর্ব পরিচয় ভুলে গিয়ে একজন দেশপ্রেমিক সি.আই.এ এজেন্ট এ পরিণত হয় সে। ঘটনাক্রমে তার বিবাহ বার্ষিকীতে তার রাশিয়ান গুপ্ত সংস্থার প্রশিক্ষক এসে সি.আই.এর সদর দপ্তরে এসে জানান যে সল্ট আমেরিকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট এর ফিউনারেলে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট কে হত্যা করবে।মুহূর্তেই সল্ট চক্রান্ত বুঝতে পারে এবং সেখান থেকে পালনোর চেষ্টা করে।শুরু হয় সল্টের ফেরারি জীবন।

কাহিনী বাণিজ্যিক হিসেবে অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক। বিশেষ করে জোলির ‍অ্যাকশন দৃশ্যগুলো খুবই ভালো হয়েছে। ডিরেক্টর ফিলিপ নয়সে ভালো কাহিনী বিন্যাসের মাধ্যমে ছবিটা্কে ভালো স্পাই থৃলারে পরি্ণত করছেন। আর জোলির অভিনয় সম্পর্কে বলাই বাহুল্য; বরাবরের মতোই ভালো অভিনয় করলো। মোট কথা, ছবিটা সব বন্ধুদের নিয়ে দেখার মতোযদি কিছু কল্পনাতীত অ্যাকশন দেখে হাসি পেতে পারে:)...

ফেসবুকের কথা বলিনতুন একটা গেম খেলা শুরু করলাম, ট্রেজার আইল্যান্ড নাম। গেমটার মধ্যে খেলোয়াড় একজন গুপ্তধন শিকারী, গুপ্তধন খঁজাই তার পেশা। গেমের মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে আপনাকে গুপ্তধন উদ্ধার করতে হবে, এতে থাকবে অনেক পুরষ্কার। চাষ-বাস করতে পারবেন, পোষা প্রাণী থাকবে, আর থাকবে প্রাচীন নিদর্শনের বিশাল সংগ্রহ (যার অধিকাংশই আপনার অভিযান থেকে পাবেন)।

খেলাটা ভালোই, কিন্তু আর সব ভালো অনলাইন গেমগুলোর মতোন এটারো অনলাইনে অনেক প্র্য়োজনীয় জিনিষ কিনতে হয়। এটা বাদে বাকি সবই ভালো। অনেক মজা গেমটা খেলেট্রাই করে দেখতে পারেন।

ঘুম আসছে।ভেবেছিলাম আরো কিছু লিখবো কিন্তু আর পারলাম না। আজকের মতো টা টা  


Sunday, August 22, 2010

আজ আমার মন ভালো নেই।





মনটা অনেক খারাপ।

অনেক বেশি খারাপ। কিছুই ভালো লাগছেনা। আমার নিয়তি আমি জানি, কিন্তু সেই নিয়তিকে আমি বদলাতে পারছি না।হাজারবার...বারেবার আমার সেই একই ভুল হচ্ছে। জীবনটা খুব একঘেয়ে লাগে এখন।

ক্লাস নেই...পরীক্ষা শেষ হলো মাত্র। মজার বিষয়, পরীক্ষা দিয়েই আমার আর কিছু করবার থাকে না...বাসায় খুব একা লাগে। ঘুম কে মনে হয় একটা ওষূধের মতো...খারাপ লাগলেই ঘুমিয়ে পরি। আবার, কখন শত চেষ্টায়ও ঘুম আসছে না।

আগুনের গানটা শুনছি। ওই যে...'আমার স্বপ্নগুলো কেনো এমন স্বপ্ন হয়...'। গানটা মনে হয় এই সময় শুনবো বলেই পিসি'তে রাখা।

বাইরে নৈশপ্রহরীর বাঁশির আওয়াজ। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে অদের মতো সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। মাঝরাতে ঘুরতে তো ভালই লাগার কথা...তাই না?

কিছুক্ষন আগে ভাবছিলাম 'আচ্ছা, কাজ না থাকলে এতো একঘেয়েমি লাগে কেন?' মনে হয় যেন হাজার বছর ধরে আলস্যের বীজ বপন করে যাচ্ছি শরীরের প্রতিটি কোনায়...হয়তো ভালোবেসে,হয়তো ঘৃণা নিয়ে...অলস শরীর খেয়ে ফেলছে মাথার রসালো মগজ...'

স্যরি। একা থাকতে থাকতে মাথা একটু ওলট-পালট হয়ে গেছে। কি আর করবো...দিন দিন আমি শয়তানের কারখানার শ্রমিক হয়ে যাচ্ছি...

মিনারের 'ক্রোধ' শুনছি। গানটা মনোযগ দিয়ে শুনতে হবে। আজকের মতো এখানেই ইতি।

আবোল-তাবোল লেখা না পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ !


আলবিদা ! 


Friday, August 20, 2010

-ঃ ঈদ ভাবনা ঃ-

অনেক দিন পর আজ  লিখতে বসে খুব ভালো লাগছে। সারদিন এতো কাজ আর হাজারো আলস্যের ভীড়ে লিখতে আর বসা হয়না । আজ লিখছি , লিখব।

রমজান  শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ  নয় রোজা শেষ...আর হয়তো  ১৮ কিনবা ১৯ রোজা পরেই ঈদ...

ঈদ করতে, সত্যি কথা বলতে কি, আর ভালো লাগে না। কি করবো, না করবো করতে করতে যখন ঈদ আসে, তখন আর কিছুই করা হয় না। সারদিন  নতুন জামা কাপড় পড়ে বসে থাকি, বন্ধুরা হয়তো দূরে কোথাও তাদের বাড়িতে বসে আছে, কিনবা তাদের প্রিয়জন নিয়ে ব্যস্ত।

একটা সময় অনেক মজা ছিলো। আমরা তখন থাকি আমার মামার বাসায়। একতলা বড় একটা বাড়ি, দেখলে বাংলো বাড়িগুলোর কথা মনে পড়তো। বাড়িটার চারপাশে আম,জাম,কাঁঠাল আরো হাজারো ফলের গাছ, সামনে একরত্তি উঠোন, সেখানে আমরা খেলতাম। আশপাশে বাড়ি বলতে পাশে একটা ৬তলা বাড়ি। ঈদের দিন আমার কাজ ছিলো ওই বাড়িতে যাওয়া, আন্টিকে সালাম করা, মিষ্টি পায়েস খাওয়া, আর খানা শেষে, যেনো খুব লজ্জিত, এমন একটা ভঙ্গিমায় ঈদের সালামি নেওয়া। বিধবা আন্টি আমাকে খুবি আদর করতেন। এখন তিনি কি করেন জানি না। কিন্তু এখনো তাকে আমি খুব মিস্‌ করি।

আরো যেতাম রেণু আন্টির বাসায়, এখনো যাই। গেলেই আমি জানি যে আমাকে তিনি ম্যাকারনি খেতে দিবেন...আর পেঁপের জর্দা। জানতাম বলেই আমি বাসায় কখনো এগুলো রান্না করতে দিতাম না, শুধু শুধু নষ্ট হবে...:) ।খাবার শেষ হলেই সালামি নিয়ে দে ছুট!

আরো কয়েক বাসায় গিয়ে একই রকম রান্না কিন্তু ভিন্ন স্বাদের আমেজ নিয়ে যখন বাসায় ফিরতাম, তখন আর মায়ের হাতের রান্না খাবার জন্য পেটে একফোঁটা জায়গা নেই। কি আর করা, ঘুমাতাম। ঘুম থেকে উঠলেই দেখতাম, মা-বাবা হয়তো রিংকু ভাইয়াদের বাসায় গেছেন, কিংবা অন্য কোন মেহ্মান আমাদের বাসায় এসেছেন। এই ফাঁকে দু-এক্টা ফোন, আর নতুন কেনা তিন গোয়েন্দা বইটা পড়তে পড়তে গান শুনা। কখন যে দশটা বেজে যেত, খেয়াল হতো না।

পরদিন আমরা যেতাম আমাদের চাচার বাসায়। ওনাদে বাসায় ঈদের পরদিন একটা দাওয়াত থাকতোই। প্রথম প্রথম মোহাম্মদপুরের বাসায়, কিংবা শেষের দিকে উত্তরায় যেতাম। ওখানে আমার ভালো লাগতো না, এতো মেহমান ভর্তি বাসা আমার কখনি ভালো লাগেনা।

আমি ঈদে কখনো আমার গ্রামের বাড়ি যাইনি। ঈদের পরদিন গিয়েছি, কিন্ত ঈদের দিন আমার যাওয়া হয় নাই। জানি, গ্রামে করার মজা রয়েছে, বিশষত কোরবাণীর ঈদে, কিন্তু এই ১৫ কোটি মানুষের দেশে ঈদে বাড়ি যাওয়াটা রীতিমতো নরকযুদ্ধ। সৌভাগ্য হয়েছে কেবল গতবার নানাবাড়ি যাবার, তাও ১৪ ঘন্টা ধরে গাড়িতে বসে থাকার পর !

এখন কেবল বাসায় বসে থাকা, গান শোনা, নতুন কোন সিনেমা আসলে দেখা, আর সবছেয়ে বড় কাজ...'ঘুম' কারো বাসায় আর যেতে ভালো লাগে না। ঈদের সেমাই ভেজাল, তাই আর খেয়ে স্বাদ পাই না। সবাই বের হলেও একা বাসায় বসে থাকি। একা লাগে...বড্ড একা হয়ে যাচ্ছি।


সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।


ঘুমনামা

মাঝে মাঝে মনে হয় আমি একা বসে আছি। একটা খালি মাঠের এক কোনে, বিলের পাশের নিচু ঢালে। শুয়েও পড়তে পারি, যদি ইচ্ছে হয়। তারপর কি করব জানি না। আমি অ...