উত্তরের অপেক্ষায় না থেকে বলি, অনেক তফাৎ।
ডানেরটাকে বলা হয় ল্যান্ড অফ ফ্রিডম। বেঁচে থাকার অফুরন্ত সুযোগের দিয়ে দোহাই দিয়ে যেখানে গরীব দেশের মানুষকে পণ্য করা হয়। যেখানে বাচ্চাদের ঘুম ভাঙ্গে কোমল রোদের আদর মেখে।
আর বামেরটাকে বলা হয় মৃত্যুপুরী। মৃত্যু এখানে পায়ে পায়ে ফেরে। পিস্তলের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে প্রতিটি শিশুর।কাদঁলে মায়েরা ঘুম পাড়ায় কুখ্যাত মাদক সম্রাটের নাম শুনিয়ে।
লোকে খুন-খারাবি করে ডান থেকে বামে চলে যায়।আবার ফিরে আসে, কোন একদিন, আবার কোন এক অপরাধের নেশায়
এটাও একটা ছবি। খুব সাধারণ ছবি। একইরকম বলতে গেলে। পার্থক্য একটা বেড়ার, যে বেড়াটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ওই মহিলার কাছে, এ বেড়াই হয়তো বদলে দিয়েছে তার জীবন! কে জানে, এ কোন দেশের মানুষ। কিন্তু তার চাহনিই বলে দিচ্ছে পুরো ব্যাপারটির ঘটনা।
এটিও আমাদের জন্য আজকাল খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। প্রায়ই পত্রিকা খুললে এরকম ছবি পাওয়াটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে আজকাল। বলাকা বাসের হাতলে ঝুলে ঝুলে যে মানুষ এই খবরটা পড়ে, তার কাছে এই খবরের মূল্য বোধহয় ওই বলাকা বাসেই আটকে থাকে, আর বেরোয় না। রাস্তার ধারে এই কাগজের পাতায় ঝালমুড়ি খেয়ে আমরা ফেলে দিচ্ছি একটি জীবনের খোঁজ খবর, হয়ত এরই মাঝে বুলেট ফুড়ে বিদীর্ণ হচ্ছে কোন এক ফেলানি। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না...আসে কি?
তিনটি ছবির কাহিনী প্রায় এক। বড় আর ছোটর গল্প। ধনী আর গরীবের গল্প। রাজনীতি আর পুজিবাদের গল্প। জনগণ,পুঁজিবাদী ভক্ষক আর মানুষখেকো নেতাদের গল্প। দুটি গল্পই এক, সবসময়ই ছিল, আছে, থাকবে হয়তোবা...?
ভালো কথা উপরে দেয়া প্রথম ছবিটা আমেরিকা আর মেক্সিকো বর্ডারের।
বিঃদ্রঃ ফেসবুক থকে কমেন্ট করার ব্যবস্থা আছে, বিনা কার্পণ্যে কমেন্ট করবেন।
এই লেখার সর্বস্বত্ব লেখকের ।এই লেখা লেখকের অনুমতি ব্যাতীত প্রকাশ,মুদ্রণ,অনুলিখন কিংবা কোন রচনায় প্রকাশ করিলে লেখক আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে বাধিত হইবেন।লেখকের মৃত্যুর পর লেখাগুলির সর্বস্বত্ব লেখকের পরিবারের।