একটা হাত যখন আলোতে পড়ে তখন দেখতে খুব ভালো লাগত। একটা পরিচিত হাত। আইরিনের পরিচিত হাত। আলোয় মাখামাখি হাতে সে কলমের আকিবুকি কাটতো। হাতের আঙ্গুলগুলো ভালো করে দেখত, আঙুলের ফাকে ফাকে নিজের আঙ্গুল ঢোকাত।
Sunday, December 23, 2012
Thursday, November 29, 2012
রজব আলীর ইতিবৃত্ত
রজব আলীর পূর্ব ইতিহাস সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি
না। দীর্ঘ কাঁচাপাকা চুলের বয়স কত, তাও এখনো আমাদের কাছে একটা রহস্য। হুদা লেনের
একপাশে রজব জুতো পালিশের জন্য বসে, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কাঠের পিড়িতে
সারাদিন বসে থেকে সে শুধু জুতো পরিস্কার করে, নাকি আর কিছু ভাবে, সেটা দেখার সময়
পাড়ার নেড়ি কুকুরটা ছাড়া আর কারো আছে বলে মনে হয় না। হুদা লেনের লোকজন কেবল
জানে, রজব আলী নামে একজন মুচি আছে, যাকে একপাটি ছেড়া ময়লা ছাল ওঠা জুতো দিলেও তা
চমৎকারভাবে সারিয়ে তুলবে।
Saturday, September 22, 2012
Algae fuel : Next Generation Biofuel
Biodiesel is usually made by combining methanol and lye with vegetable
oil, animal fat, or recycled cooking grease. It can be blended with ordinary
diesel to reduce vehicle emissions or used in its pure form. And it can even be
transformed into a kerosene-like jet fuel. Unfortunately, the world doesn't
currently have enough vegetable oil or old grease to make sizable quantities of
biodiesel. Even if the United States were to devote its entire annual crop of
soybeans to producing biodiesel, it would barely make a dent. But no nation
would ever do that, because food production is still the No. 1 use for soybean
oil. Algae, on the other hand, need not present such a conflict.
Algae fuel might be an alternative to fossil fuel and uses algae as its source of natural deposits. Several companies and
government agencies are funding efforts to reduce capital and operating costs
and make algae fuel production commercially viable. Harvested algae, like fossil fuel,
release CO2 when burnt
but unlike fossil fuel the CO2 is
taken out of the atmosphere by the growing algae.
Sunday, July 1, 2012
হিজিবিজি আর হিজিবিজি।
(সমতল থেকে এক বন্ধু কোথায় যেন চলে যাচ্ছে। আমি তার কাছে গেলাম। )
বন্ধু , তোমার লক্ষ্য কোথায়?
- ওই পাহাড়ের চূড়া।
সেখানে যাবে কিভাবে?
-কেন? পথ তো গেছে সেদিক দিয়েই...পথ ধরেই যাব।
পথে যে অনেক কাঁটা?
-কাটা তুলে নেব।
তাতে তো তোমার দেরী হবে, যেতে পারবে কি অতটা পথ?
-তা তো হবেই, দেরী হবে। তবে পথ তো চেনা।
পথের বাঁকের মায়াগুলো কাটাতে পারবে? আমাদেরকে ভুলতে পারবে?
-নাহ্ , তোমাদেরকে ভুলি কি করে? তোমরা তো আমার আপনজন।
তাতে তোমার পাহাড়ের বুকে ওঠার আরো দেরী হবে, পথের বোঝা আরো ভারী হবে...
-হয় হোক। তাতে যা পাব, সেটাই ঢের ভালো হবে।
আমাদেরকে ভুলে যাবে?
-কক্ষনো না!
(পাশে ফিরে দেখি, একজন ফিরে আসছে। হাতে-পায়ে ক্ষত। মুখে প্রশান্তির ছায়া, কিন্তু চেহারায় হালকা বিষণ্ণতার ছায়া।)
তুমি তো জয় করে ফেললে হে!
-(হেসে) ...তা বলতে পারো।
এখন তো তোমার অনেক আশা ফুরোল...
-ফুরোয়নি, আরো বেড়েছে। জমা হয়েছে অনেক।
মায়ের কথা মনে পড়ে?
-খুব।
বাবার কথা?
-জানো, কেন যেন মনে হচ্ছে বাবাকে এখন দেখলে চিনব না...।
ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব...
-আর বোল না ভাই, কান্না পাচ্ছে খুব।
কেন? এখন তোমার নজর নেবে সবাই, সবাই তোমাকে ভালোবাসবে, খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে, তুমি স্বনামধন্য হবে। জনে জনে তোমার নাম ধরে বলবে- "এই সেই মানবসন্তান, যে নিজের ভালোবাসাকে তুচ্ছ মনে করে, জগতের মায়া ছেড়ে ওই চূড়ায় ওঠার জন্য গিয়েছিল। এখন তোমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী, তুমি সফল, তোমার জীবন ধন্য!
-এই কষ্টের পরিণাম কি জানো? ভালোবাসাহীন একাকীত্বের জীবন। এখন আমি একা। শুধুই একা।
(সে আস্তে আস্তে এগিয়ে যায় সমতলে। সকলে তাকে দেখে আনন্দে মেতে ওঠে, উল্লাস করে। কিন্তু তার বিষণ্ণ চাহুনি আমার চোখে লেগে লেগে থাকে। বড্ড করুণ সে চাহুনি, বড্ড কালচে আর অভিমানী। )
এই লেখার সর্বস্বত্ব লেখকের ।এই লেখা লেখকের অনুমতি ব্যাতীত প্রকাশ,মুদ্রণ,অনুলিখন কিংবা কোন রচনায় প্রকাশ করিলে লেখক আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে বাধিত হইবেন।লেখকের মৃত্যুর পর লেখাগুলির সর্বস্বত্ব লেখকের পরিবারের।
Wednesday, June 27, 2012
ক্যাম্পাস || সকাল থেকে দুপুর আর একজন নাফিসের গল্প
সকালবেলা বাইরে থাকা একসারি চায়ের দোকান থেকে ভার্সিটিটাকে দেখতে খারাপ লাগে না। আমি মাঝে মাঝে বসে বসে হারুন মামার দোকানে চা খাই আর ভার্সিটিকে ভালো করে দেখি। চার বছর আগে যেমনটা দেখতাম, এখনো তেমনটাই আছে, তেমন একটা বদলায় নি। তবে বদলাচ্ছে কোথাও, কোথাও একটা সূক্ষ্ম পরিবর্তন হচ্ছে ঠিকই। সেটা খুজতে হবে...উত্তর হয়ত আছে আমাদের সামনেই।
Friday, June 8, 2012
জীবন
ভেঙ্গে গেছে খেলাঘর,
অবসরে চলে গেছে কৈশোর ।
প্রতিদিন ছুটির তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে যৌবন ।
স্বপ্নগুলো সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে
কোথায় যেন মিলিয়ে যাচ্ছে ।
ভালোবাসার রঙ হয়ে গেছে ধূসর ।
আর আমি নিয়ত ব্যস্ত শুধু আমাকে নিয়েই ।
আমাকে নিয়েই কী ?
কই এত আমি নই !
আমার মাঝে ঢুকে গেছে কতজন,
ভোর হতে সুখ কুড়িয়ে এনে তাদের দেই,
এই হলো জীবন, এক চিরন্তন নাট্যশালা,
বিরতিহীন নাটক !
অভিনেতার মৃত্যু যেখানে সম্ভব,
কিন্তু নাটক শেষ হবার নয়, কোনদিন নয় !!!
এই লেখার সর্বস্বত্ব লেখকের ।এই লেখা লেখকের অনুমতি ব্যাতীত প্রকাশ,মুদ্রণ,অনুলিখন কিংবা কোন রচনায় প্রকাশ করিলে লেখক আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে বাধিত হইবেন।লেখকের মৃত্যুর পর লেখাগুলির সর্বস্বত্ব লেখকের পরিবারের।
Saturday, June 2, 2012
টুসকি ও তারা দুইজন
'আচ্ছা, ধর, আমরা সবাই মিলে যদি গর্জ্যেস ম্যলিসের জন্মদিন পালন করি, তবে কেমন হয়?'
নাবিলের এই প্রশ্ন শুনে বিষম খেলাম।'গর্জিয়াস মালিশ!! সেইটা আবার কি?'
নাবিল আমার কথা শুনে ভ্রু কূঁচকাল।' ধুর ব্যাটা মালিশ বলছিস ক্যানো? ম্যলিস্ ম্যলিস্-গর্জেস্ ম্যলিস! ফ্রান্সের বিখ্যাত ১০ জন ফিল্ম ডিরেক্টরদের একজন। হুগো দেখিস নি বুঝি?'
সকালে ক্যান্টিনে খেতে বসেছিলাম। এত্ত জ্যাম ঠেলে যখন ভার্সিটি পৌছাই তখন খিদের চোটে মাথায় কিছু থাকে না। এমনিতেই ক্ষুধায় কাতর, তার উপর নাবিলের হঠাৎ প্রশ্নে বিষম খেলাম।
নাবিল আমার সামনের চেয়ারটা ঠেলে বসল। ' শোন। ধর আজকে তুই এমন একটা কাজ করলি, যেটার কথা আজ থেকে ৯০ বছর পরও লোকে স্মরণ করছে। তখন তোর কি মনে হবে?'
Thursday, May 31, 2012
শহুরে কথকতা-২: "ওস্তাদ, নামবার আচ্ছে!"
বলাকা বাসের হেলপারের প্রচলিত কথাগুলো আয়ত্ত করাটা সহজ নয়। আমি আজ পর্যন্ত একটাও ভাল করে বলতে পারি নাই।তবে নামার সময় একটা অদ্ভুত ডাক চলে আসে, সেটা পুরোন ঢাকার অচেনা সুর হতে পারে। হেলপাররাও মাঝে মাঝে বলে থাকে। ডায়লগটা হলো, " ওস্তাদ, নামবার আচ্ছে!!"
Tuesday, May 29, 2012
শহুরে কথকতা-১: বন্ধু, কি কব তোমার তরে?
যখন বাসে উঠি, তখন সবসময় একটা কথাই মনে হয়, " আজ রাস্তায় কি হবে? "
রাস্তাগুলো মানুষের আর্তনাদে মুখর থাকে সেই সকাল থেকেই। কাজেই আমার আলাদা করে তেমন কিছু খোজা লাগে না। এই শত মানুষের হর্ষ- বিষাদ, আনন্দ-যন্ত্রণাগুলোকে আমি মনের মাঝে অল্প অল্প করে সেভ করে রেখে দিচ্ছি। এগুলো আমার সারা জীবনের সঞ্চয় বলা যেতে পারে। এগুলোতে আমি ঘুরে বেড়াই, মানুষের সব অদ্ভুত অদ্ভুত চিন্তাগুলোকে নিয়ে ভাবি, মানুষের একেক রঙ নিয়ে ভাবি।রঙের মেলার ছোট্ট এক কোনে আসর সাজিয়ে বসে থাকি ভাগ্য গণকের মতন।
রাস্তাগুলো মানুষের আর্তনাদে মুখর থাকে সেই সকাল থেকেই। কাজেই আমার আলাদা করে তেমন কিছু খোজা লাগে না। এই শত মানুষের হর্ষ- বিষাদ, আনন্দ-যন্ত্রণাগুলোকে আমি মনের মাঝে অল্প অল্প করে সেভ করে রেখে দিচ্ছি। এগুলো আমার সারা জীবনের সঞ্চয় বলা যেতে পারে। এগুলোতে আমি ঘুরে বেড়াই, মানুষের সব অদ্ভুত অদ্ভুত চিন্তাগুলোকে নিয়ে ভাবি, মানুষের একেক রঙ নিয়ে ভাবি।রঙের মেলার ছোট্ট এক কোনে আসর সাজিয়ে বসে থাকি ভাগ্য গণকের মতন।
গান্ধী আশ্রম : গান্ধীবাদের খোঁজে
ঘুরে এলাম ‘’গান্ধী আশ্রম’’। ভাবছেন ভারত থেকে ঢু মেরে এলাম ! ঠিক তা নয়। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা জয়াগ গ্রামেই বাংলাদেশের একমাত্র গান্ধী আশ্রমের অবস্থান।
গান্ধী আশ্রমের কথায় আসার আগে কিছু পুর্বকথায় না গেলেই নয়।
Saturday, May 19, 2012
অতিথি
বীভৎস অন্ধকার!
তোমাদের এই নিয়ন আলোর শহরে-
আমার জন্য কি এতোটুকুও
জ্যোৎস্না অবশিষ্ট নেই?
আমায় কিছু জ্যোৎস্না দাও।
কষ্টগুলো যদি ছুটে চলা বাস হতো!
হরতাল করে পুড়িয়ে দিতাম।
নেশায় বুঁদ,মাতাল চোখে-
কার ছায়া?এতটুকুও কি
বৃষ্টি নেই-তোমাদের এই শহরে?
আমায় একটু বৃষ্টি দাও।
স্মৃতিগুলো যদি ডাস্টবিন এ ফেলা,
আবর্জনা হত!কাক পাখির-
ঠোকরে অন্ধ হতাম।
জ্যোৎস্নায় কার অস্পষ্ট মুখ?
বৃষ্টিতে কে লুকায় অশ্রুজল?
কাকের ঠোঁটে স্মৃতিগুলো!
দালানকোঠার ভিড়ে কি-
আকাশ আছে,তোমাদের এই শহরে?
আমায় একটু আকাশ দাও।
স্বপ্নগুলো যদি দূষিত বাতাস হতো!
কবেই তো আমি নিঃস্ব হতাম।
Monday, March 12, 2012
রিপোর্ট
মেডিকেলের মর্গে সামনে ভীড় লেগে থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। মর্গ মানেই প্রতিদিন দু'-চারটা অ্যাকসিডেন্ট, দুটা খুন, একটা আত্মহত্যার হ্যাপা সামলান। তাও এটা মফস্বলের মর্গ, ঢাকা শহর হলে যে কি হত, খোদাই মালুম। প্রতিদিনই এখানে লাশ আসে, প্রতিদিনই চলে যায়। মানুষের আর্তনাদের শব্দ আর কাকের কর্কশ ডাকে হাসপাতালের এই দিকটা মাতিয়ে রাখে।
আজকের রগড় মনে হয় অন্যরকম। সকালে এসেছি, শুনলাম কোন এক যুবনেতা ক্রসফায়ারে মারা গেছে। সকাল বেলাই তাই রাফি ভাই আমাকে পাঠিয়ে দিল, রিপোর্ট করতে। কি ছাতার রিপোর্ট লিখব তাই ভাবছিলাম।
মর্গের সামনে পুলিশের গাড়ি তখনো আসে নাই। আমি একটু আরাম করে একটু দূরে দাঁড়িয়ে বিড়ি ফুকছি। হঠাৎ দেখি, মর্গের সামনে জটলা বেধেছে।
একটা মানুষ মর্গের সামনে বসে কাদছে। কে ওখানে?
Friday, January 27, 2012
আইম্যাক্সঃ ছবি দেখায় বিশালতা
দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস (The Dark Knight Rises) ক্রিস্টোফার নোলানের করা ব্যাটম্যানঃডার্ক নাইট সিরিজের
সর্বশেষ ছবি। অসাধারণ এই সিরিজের শেষ পর্বের মুক্তি হবে ২০১২ সালের ২০ জুলাই।
বিশ্বব্যাপী এই ছবি দেখার জন্য মানুষের যে মুভি হলগুলোতে ঢল নামবে, তার কোন সন্দেহ নেই।
ওয়ার্নাস ব্রস পিকচারের এই ছবিটি আইম্যাক্স ফরম্যাটে মুক্তি পাবে বলে ইন্টারনেটে
বিভিন্ন ওইয়েবসাইটে দেখলাম। শুধু এই মুভি নয়, ইদানীংকাল মুক্তি পাওয়া রিয়াল স্টিল(২০১১),অ্যাডভেঞ্চারস্ অফ টিনটিন(২০১১),হ্যারি পটার সিরিজের বেশ কটি ছবি সহ প্রায় সব বিখ্যাত
বাণিজ্যিক ছবিই মুক্তি পাচ্ছে এই ফরম্যাটে। প্রশ্ন জাগে, এই আইম্যাক্স ফরম্যাট কি?
Subscribe to:
Posts (Atom)
ঘুমনামা
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি একা বসে আছি। একটা খালি মাঠের এক কোনে, বিলের পাশের নিচু ঢালে। শুয়েও পড়তে পারি, যদি ইচ্ছে হয়। তারপর কি করব জানি না। আমি অ...
-
ই উটিউবের একটা নিজস্ব ব্লগ আছে এটা হয়ত অনেকেই জানেন। অনেকে নাও জানতে পারেন। এই খানে লিঙ্ক টাতে গিয়ে ব্লগটা ফলো করে অনেক কিছুই জানতে পা...
-
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি একা বসে আছি। একটা খালি মাঠের এক কোনে, বিলের পাশের নিচু ঢালে। শুয়েও পড়তে পারি, যদি ইচ্ছে হয়। তারপর কি করব জানি না। আমি অ...