Wednesday, December 7, 2011
Monday, December 5, 2011
Wednesday, November 30, 2011
গুগলের ভূগোল-৩ || প্যানোরামিও
গুগলের অনেক রকম ওয়েব বেজড্ কাজ আছে যেগুলো দেখে অবাক হতে হয়। এই যেমন গুগল আর্থ- অসাধারণ একটা ব্যাপার, ঘরে বসেই আপনি আপনার অবস্থান সম্পর্কে জেনে যেতে পারেন এক নিমিষেই।স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিগুলোর সুপার ইম্পসিশনের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন স্থানের ত্রিমাত্রিক ছবি দেখা যায় যেকোন সময়। গুগল আর্থ প্রো ব্যবহার করেছেন কেউ? করলেই বুঝতে পারবেন।
আজকে গুগল আর্থ নিয়ে কিছু লিখতে বসি নাই, আমার ধারণা অনেকেই গুগল আর্থ নিয়ে মোটামুটি ধারণা রাখে। আজকে আমি এইরকম আরকটা জিনিষ নিয়ে কথা বলব।তার আগে কিছু বিষয় নিয়ে ধারণা দেয়াটা জরুরী।
কোন একটা জায়গার ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ডেটা যদি কোন মাধ্যম, যেমন গুগল আর্থের ছবির সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়, তাহলে তাকে বলা হয় "Geographical Metadata". এর জন্যই গুগল আর্থ ঘাটলেই আমরা উত্তরার সেক্টর দশের যেমন হদিস পাই, তেমনি নিউ ইয়র্কের কয়টা জায়গায় ম্যাকডোনাল্ডস্ এর শাখা আছে তা জানতে পারি।
প্রশ্ন হচ্ছে, এরকম geographical metadata আর কে ব্যবহার করতে পারে?
Monday, November 28, 2011
ইউটিউবে খোঁড়াখুঁড়ি !
ইউটিউবের একটা নিজস্ব ব্লগ আছে এটা হয়ত অনেকেই জানেন। অনেকে নাও জানতে পারেন। এই খানে লিঙ্ক টাতে গিয়ে ব্লগটা ফলো করে অনেক কিছুই জানতে পারা যাবে। এখানে আসলে ওদের বিভিন্ন প্রমশোন, রিভিউ, ভিডিও অব দ্য মানথ্- এগুলোই দেয়া হয়, আমার কাছে খুব বেশি একটা গুরুত্বপূর্ন মনে হয় নি। খালি একটা পোস্টে গিয়েই আটকে গেলাম।
Friday, November 25, 2011
গুগল এর ভূগোল !
আপনি কি জানেন প্রতি চারজন ছাত্রের মধ্যে তিনজন গুগল থেকে নিজের প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য যাচাই করে বের করতে পারে না?
Monday, November 21, 2011
আসলেই হাতের মুঠোয় কম্পিউটার !
Location:
Dhaka, Bangladesh
Saturday, November 19, 2011
পর্বতশৃঙ্গ থেকে গভীর খাদ।
পৃথিবীর উপরে থেকে নিচ পর্যন্ত কি আছে?
ছোটবেলায় শুনতাম পৃথিবীর এক মাথায় মাটিতে গর্ত খুড়লে অন্য মাথা দিয়ে বের হওয়া যাবে। এটা নিয়ে তখন অনেক চিন্তা করেছি ঠিকই, স্যারকে প্রশ্ন করে স্যারদের ঝাড়িও খেয়েছি। আসলে মাটির নিচে কি আছে, কিংবা পুরো আকাশ জুড়ে মেঘের খেলা নিয়ে অনেক কৌতুহল ছিল।
ছোটবেলায় শুনতাম পৃথিবীর এক মাথায় মাটিতে গর্ত খুড়লে অন্য মাথা দিয়ে বের হওয়া যাবে। এটা নিয়ে তখন অনেক চিন্তা করেছি ঠিকই, স্যারকে প্রশ্ন করে স্যারদের ঝাড়িও খেয়েছি। আসলে মাটির নিচে কি আছে, কিংবা পুরো আকাশ জুড়ে মেঘের খেলা নিয়ে অনেক কৌতুহল ছিল।
Location:
Dhaka, Bangladesh
Friday, November 18, 2011
এল এস ডি খেয়ে ছবি !!
ছবি দুইটি সাধারণ কোন মানুষের আঁকা ছবি বলে ভাবছেন? হতে পারলে বেশ হতো। কিন্তু ছবি দুটো আঁকা শিল্পী LSD খেয়ে ছবিগুলো এঁকেছেন!!!
LSD (Lysergic acid diethylamide)
এক প্রকার নেশাজাতীয় দ্রব্য যা খেলে মানুষের দেহে নানা রকম মানসিক পরিবর্তন ও সময়-কাল-স্থান-পাত্র সম্পর্কে অসচেতনতা হ্রাস পায়। এটি মানুষের স্থায়ী মানসিক ক্ষতিসাধন করতে পারে। Albert Hofmann ১৯৩৩ সালে এটি আবিষ্কার করেন। LSD নিয়ে প্রবর্তীকালে অনেক গবেষণা হয়। তবে সবচাইতে বিচিত্র গবেষণা হয় এর মানসিক চিন্তাধারার পরিবর্তন, ও প্রভাব নিয়ে।
১৯৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একজন আঁকিয়েকে নিয়ে একটি গবেষণা হয়। তাকে একটি রুমে LSD খাইয়ে রেখে দেয়া হয়। সাথে দেয়া হয় একগাদা ক্রেয়ন আর পেনসিল দেয়া হয়।
মোট নয়টি ছবি এঁকেছিলেন ওই চিত্রশিল্পী। সেগুলো দেখে আর বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
http://analogik.com/multimedia/flash/acid_trip.exe
শুভরাত্রি!
Wednesday, November 16, 2011
টুকরো টুকরো কথা...|| পোকিমন স্যান্ডউইচ
কিভাবে বানানো জানি না, দেখতে ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে...:)
খাবার যদি এমন করে সাজানো থাকে তাহলে মজাই লাগে, তাই না?
রাত ২ টা। ক্ষুধা লেগেছে...ফ্রিজে হানা দিয়ে আসি...:)
ততক্ষণে নিচের লিঙ্কের লোভনীয় খাবারগুলোর রেসিপি দেখতে থাকুন।
Chicken Recipes | punchfork.com
এই লেখার সর্বস্বত্ব লেখকের ।এই লেখা লেখকের অনুমতি ব্যাতীত প্রকাশ,মুদ্রণ,অনুলিখন কিংবা কোন রচনায় প্রকাশ করিলে লেখক আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে বাধিত হইবেন।লেখকের মৃত্যুর পর লেখাগুলির সর্বস্বত্ব লেখকের পরিবারের।
এই লেখার সর্বস্বত্ব লেখকের ।এই লেখা লেখকের অনুমতি ব্যাতীত প্রকাশ,মুদ্রণ,অনুলিখন কিংবা কোন রচনায় প্রকাশ করিলে লেখক আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে বাধিত হইবেন।লেখকের মৃত্যুর পর লেখাগুলির সর্বস্বত্ব লেখকের পরিবারের।
Saturday, October 22, 2011
বাসুর শেষ রাত
লোকটার অসহায় ভঙ্গি দেখে অনেকের মায়া হতে পারে, কিন্তু বাসুর হল না। সে একমনে ছুরিতে শান দিতে লাগল।
হাঁটু গেড়ে ও লোকটার সামনে বসল। আশেপাশে হালকা বাতাস বইছে ঠিকই, কিন্তু এতে লোকটার এতটা কেঁপে ওঠার কথা ছিল না। বাসু তার দমকা হাসিতে ফেটে পড়লো। ‘এমা, তুই তো ভয় খেয়ে আগেই মরে যাবি রে !’ হাসির দমকে লোকটার ভয় আরও বেড়ে যায়, কাঁপতে থাকে মৃগী রোগীর মত।
হঠাৎ দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে যায় বাসুর, মুখ খিচিয়ে বলে,' তাহলে আমি ছুরি ধার দিচ্ছি কেন হারামজাদা!
হাঁটু গেড়ে ও লোকটার সামনে বসল। আশেপাশে হালকা বাতাস বইছে ঠিকই, কিন্তু এতে লোকটার এতটা কেঁপে ওঠার কথা ছিল না। বাসু তার দমকা হাসিতে ফেটে পড়লো। ‘এমা, তুই তো ভয় খেয়ে আগেই মরে যাবি রে !’ হাসির দমকে লোকটার ভয় আরও বেড়ে যায়, কাঁপতে থাকে মৃগী রোগীর মত।
হঠাৎ দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে যায় বাসুর, মুখ খিচিয়ে বলে,' তাহলে আমি ছুরি ধার দিচ্ছি কেন হারামজাদা!
Thursday, October 13, 2011
কবিতা আর কোন এক রাতের গল্প
আমাদের দেশে জীবন শুরু হয় খুব ছোটবেলায়। হয়তো কেউ ছোটবেলায় নিজের পরিচয় হারায়, কেউ হারায় তার বাবা-মাকে,আবার কেউ জানে না তার জন্ম কোথায়। কেউ কেউ খুব ছোটবেলা থেকেই নিজের পরিচয়ের পরিবর্তন দেখে।কেউ ছোটবেলায় বিয়ের পিড়িতে বসে, কেউ তার আপনজনদের হাতে হারায় সম্ভ্রম। আবার কেউবা এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রেহাই পেলেও আশেপাশের কলুষিত জীবন দেখে কষ্ট পায়।
এইটুকু লিখেই আর ভালো লাগল না। সাড়ে নয়টা বাজে, ছবি দেখতেও মন চাইছে না। ফ্যান চালানো, তারপরও শরীরে ফতুয়াটা ভিজে জবজবে হয়ে লেগে আছে। শিরিন কালকে দেখলে নিশ্চয়ই বলবে, ‘একদিনেই ফতুয়াটার কি হাল করলে? দাম দিয়ে তোমাকে কোন কিছু কিনে দেবার কোন মানেই হয় না!’
এই গরমে আমার সবচেয়ে যেটা ভালো লাগে সেটা হল এক কাপ চা। গরম চা । অবশ্য গরম চা খেলে আজকাল বুকে হালকা ব্যথা হচ্ছে, সেটা সিগারেটের জন্যও হতে পারে। সিগারেটের কথা মনে পড়তেই আমি মনোয়ার ভাইকে বললাম, ‘মনু ভাই, গোল্ড লীফ আছে?’
Saturday, August 6, 2011
ইচ্ছে নেই
আজকে তেমন কোন কিছু লেখার ইচ্ছে নেই।
কোন কিছু বলার ইচ্ছে নেই…।
যেমনটা আছে,ঠিক তেমনটাই থাক আমার কবিতার খাতা।
সাদা, ভুলহীন নিষ্পাপ শিশুর মত।
Wednesday, May 4, 2011
প্রতিশোধ
তার সাথে আজকেও আমার আবার দেখা হবে এটাই স্বাভাবিক। আমার সময়টা মনে আছে, ঠিক সাড়ে আটটায় ভদ্রলোক বের হবেন। সটান গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম চৌরাস্তার মোড়টায়, যেখানে রহিম চাচা আজকাল মাঠা বিক্রি করে। এক গ্লাস মাঠা হাতে নিতেই দেখলাম লোকটা আসছে।
আমাকে দেখেই মধ্যবয়েসি লোকটা একটু মুখ লুকানোর চেষ্টা করে। হাতের সম্ভবত একটা বিড়ি ছিল, সেটাও ফেলে দিল। হাতের ফাইলটা দিয়ে নিজের টেকো মাথা আড়াল করতে করতে এগিয়ে যায়, যেন আমাকে দেখলেই আজকের দিনটা নষ্ট হয়ে যাবে।
আমি এক ঢোকে হাতের মাঠাটা খেয়ে ফেলি। হালকা চালে ডাক দেই, ‘ মিজান সাহেব, একটু শুনে যান।’
Sunday, March 6, 2011
দুর্ঘটনা অথবা দুঃস্বপ্নের গল্প
Night terrors are something quite different. Nightmares tend to occur after several hours of sleep, screaming or moving about is very uncommon, the dream is usually elaborate and intense, and the dreamer realizes soon after wakening that he or she has had a dream. Night terrors, on the other hand, occur during the first hour or two of sleep, loud screaming and thrashing about are common, the sleeper is hard to awaken and usually remembers no more than an overwhelming feeling or a single scene, if anything. Nightmares and night terrors arise from different physiological stages of sleep.
১.
আজকাল আমার ভীষণ মাথাব্যথা করছে। চিনচিন করে ব্যথা। দুটো, তিনটে, চারটে প্যারাসিটামল খেলেও কোন কাজ হচ্ছে না। ডাক্তার দেখালাম, দেখে বললেন, “কই, তেমন কোন সমস্যা তো দেখছি না...।” দুটো ওষুধ লিখে দিলেন। “এগুলো পেইন কিলার, ব্যথা হলে খাবেন।” আজ দু-সপ্তাহ হয়ে গেল, ওষুধ খাওয়াই সার...ব্যথায় কাতর হয়ে আমি যেন নরকবাস করছি।
আজ রাতেও আমার মাথাব্যথা শুরু হল। প্রচণ্ড ব্যথায় মাথা ঠুকে মরতে মন চাইলো। টঙ্গীর ব্যস্ত অলিগলির মাঝে বিষময় যান্ত্রিক কোলাহল আর মেসের লোকজনের সপ্তাহ-শেষের আড্ডার হাস্যরস আমাকে পাগল করে তুলল। উপায়ান্তর না দেখে আমি মেস থেকে বের হলাম, আমার আর ভালো লাগছিলো না।
গলি থেকে হাইওয়ের দিকে যেতে লাগলাম। এক একটি পা ফেলছি আর মনে হচ্ছে মাথার ভেতর অবিরাম গতিতে হাতুড়ীর বাড়ি পড়তে লাগলো। মোড়টা পেরিয়ে তুরাগের পাড়ের দিকে এলাম। এদিকটায় আগে জনবসতি ছিল না। ভুমিদস্যুদের ধর্ষণে এ তুরাগ আজ কেবল রিক্তই হয়নি, ধীরে ধীরে নিজের মৃত্যুও ঘোষণা করছে।
আমি হাঁটতে হাঁটতে তেমনি একটা বালুময় দস্যু-প্রকল্পের দিকে এগুতে লাগলাম। ঠাণ্ডা বাতাস, ভাবলাম, হয়তো এখানকার বাতাস আমার ভালো লাগবে।
“হাঁটতে বেরিয়েছেন?”
“হাঁটতে বেরিয়েছেন?”
Saturday, February 12, 2011
অন্তুর আজো খেলতে ইচ্ছে করে।
অন্তু প্রতিদিন এই সময়টায় আকাশ দেখে। সকালের সূর্যটা আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠতে থাকে... আলোয় ভরে উঠে চারপাশটা। গাছগুলোর পাতার ফাঁকে ফাঁকে আলো তার ঘরের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে...তার গায়ে আদর মেখে দেয়। অন্তু জানালার পর্দা মেলে দেয়, যেন সবটা আলো তার চাই-ই চাই।
আজও অন্তু আকাশ দেখছিল। মাঝে মাঝে অন্তু ভাবে, তার একটা ক্যামেরা থাকলে মন্দ হত না...দু-চারটা ছবি তুলতে পারতো। একটা ক্যামেরা তার অবশ্য আছে ঠিকই, কিন্তু ওটার ফিল্ম কিনতে হয়। অন্তুর ফিল্ম কেনার ঝামেলাটা ঠিক পছন্দ না। আজ অন্তু বাবাকে একটা ক্যামেরার কথা বলবে, অন্তত ঈদের সময় পেলেও খারাপ হবেনা ব্যাপারটা।
"কিরে, রুটিন ওয়ার্ক করছিস?"
আজও অন্তু আকাশ দেখছিল। মাঝে মাঝে অন্তু ভাবে, তার একটা ক্যামেরা থাকলে মন্দ হত না...দু-চারটা ছবি তুলতে পারতো। একটা ক্যামেরা তার অবশ্য আছে ঠিকই, কিন্তু ওটার ফিল্ম কিনতে হয়। অন্তুর ফিল্ম কেনার ঝামেলাটা ঠিক পছন্দ না। আজ অন্তু বাবাকে একটা ক্যামেরার কথা বলবে, অন্তত ঈদের সময় পেলেও খারাপ হবেনা ব্যাপারটা।
"কিরে, রুটিন ওয়ার্ক করছিস?"
Friday, February 11, 2011
সাবধান ! এই খানে ঝগড়া চলতাছে !
-তাহলে তুমি চলে যাচ্ছ?
-হ্যা।
-তোমার আর কিছু বলার নেই?
-আর কিছু কি বলার থাকবে? আর কিছুই বলার নেই।
-কেন থাকবে না? আমার কি দোষ সেটা বল...
-দোষ? না না, তোমার দোষ থাকবে কেন? দোষ তো সব আমার!
-রাগ করছ কেন? আমি তো বললামই যে তারিন আমার বান্ধবী।
-বান্ধবী? শুধু বান্ধবী? হল না আজিজ, বলো অন্তরঙ্গ বান্ধবী!
-অহ্ হো...আচ্ছা, একটু বোঝার চেষ্টা করো না প্লিজ। কতবার এই এক কথা বলতে চাও তুমি?
-কতবার মানে? হাজারবার বলবো, লাখ লাখ বার বলবো, তাতে তোমার কি? তোমার কি?
-আচ্ছা বল। বলতে থাক।
-বলবোই তো, তোমার ইচ্ছে মতো তো আর জীবন চলে না...
-হুম, চলে তোমার ইচ্ছেমতো।
-কি বললে? কি বললে তুমি? এত বড় কথা!!
-কই নাতো! মাত্র পাঁচটি পূর্ণ শব্দ "তোমার কথায় আমার জীবন চলে।"
-কি বলতে চাও তুমি? আমার কথায় জীবন চলে মানে?
-জীবন চলেই তো...তোমার কথা ছাড়া আমি এক পাও এগুতে পারি নাকি?
-মানে কি!! আমি তোমাকে আটকে রাখি, হ্যা ?বরং আমি তোমার কথায় ...
"দাড়ান দাড়ান ভাই। এইখানে হইতেছে টা কি!! কথা কয় কেডা?"
"এইখানে ঝগড়া হইতেছে ভাই...স্বামী-স্ত্রীর ক্যাচাল।"
"ও। আচ্ছা...এরা হুদা হুদা ঝগড়া করতাছে ক্যান?"
"খাড়ান, হুইনা লই?"
"আইচ্ছা।"
-বিয়ে করার আগে তুমি প্রেম করোনি? সব কি আমি একাই করেছি?
-হ্যা করেছ, তুমি একাই করেছ। তোমার মতো এমন ছেলে আমি আর ইহজীবনে দেখি নাই।
-তা দেখবা কেমনে? দেখবা খালি টিভি সিরিয়াল...
-এখন আমার টিভি সিরিয়াল নিয়েও টানাটানি? একটু টিভি সিরিয়াল না দেখলে আমি করবোটা কি?বাসায় বসে বসে আর কি করার থাকতে পারে আমার?
-(ওই...সিরিয়াল শুরু হয়ে গেল...)
-সকাল বেলা থেকে রাত অবধি আমার বাসায় খালি আমি থাকি...
-(হাসি)তোমার বাসায় আর কে থাকবে...?
-আজিজ! আমি সিরিয়াস কথা বলছি!!
-আচ্ছা বল।
-কি বলবো আর? আমার আর কোন কথা নাই। আরও অনেক কথা আগেই বলেছি, এবার আর বলার কিছু নাই।
-এভাবে রাগ না করলে হয় না?
-না হয় না। আমি গেলাম।
" হায় হায়, রাগ কইরা চইল্যা যাইতাছে তো!"
"হুম...তাই তো দেখতাছি...মহিলা খুবই খেপা।"
"ওই ব্যাটা বুঝাইলেই তো পারে..."
"আরে মিয়া, বুঝাইতেছে তো...লাভ হইতাছে না..."
"আহারে..."
-নীপা, প্লিজ...আচ্ছা আমি আর কোনদিন আমার মেয়ে বান্ধবিদের সাথে কথা বলবো না।
-পুরনো কথা।
-আর কোনদিন তোমার রান্না নিয়ে কথা বলবো না।
-হা হা Bad Joke...
-সামনের ছুটিতে আমরা তোমাদের বাসায় যাবো।
-জানুয়ারীতে জুনের ছুটির অজুহাত দেখিয়ো না। সরো।
-আহা নীপা শোন...আজকে অফিসে যাব না, বাসায় থাকবো।
-লাগবে না।
-নাহয় গেলামই টিএসসিতে...
-ফালতু প্যাচাল বন্ধ করো না প্লিজ! আমাকে যেতে দাও।
-নীপা, আমি তোমাকে ভালোবাসি।
"আয় হায় দেখেন ভাই, মহিলা হাসতাছে!"
"হ তাই তো দেখতাছি...মিল হইয়া গেল।"
"এই কথাটা আগে কইলেই তো আর কোন প্রবলেম ছিল না..."
"আসলেই...আগে কইলেই এত্ত কাহিনী হয় না।"
"ভাই...তয় আরেক খান কথা, লাগছিল কি নিয়া?"
"ভ্যালেন্টাইনস্ ডে নিয়া।"
"মানে?"
"আরে ভ্যালেন্টাইনস্ ডে তে মহিলারে টি এস সি তে নিয়া যাইবো না কেন হেইডা লইয়া।"
"ও...আচ্ছা ভ্যালেন্টাইনস্ ডে টা কি ভাই?"
"জানেন না? আচ্ছা, ব্লগটা বন্ধ করেন, কইতাছি..."
এই লেখার সর্বস্বত্ব লেখকের ।এই লেখা লেখকের অনুমতি ব্যাতীত প্রকাশ,মুদ্রণ,অনুলিখন কিংবা কোন রচনায় প্রকাশ করিলে লেখক আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে বাধিত হইবেন।লেখকের মৃত্যুর পর লেখাগুলির সর্বস্বত্ব লেখকের পরিবারের।
-হ্যা।
-তোমার আর কিছু বলার নেই?
-আর কিছু কি বলার থাকবে? আর কিছুই বলার নেই।
-কেন থাকবে না? আমার কি দোষ সেটা বল...
-দোষ? না না, তোমার দোষ থাকবে কেন? দোষ তো সব আমার!
-রাগ করছ কেন? আমি তো বললামই যে তারিন আমার বান্ধবী।
-বান্ধবী? শুধু বান্ধবী? হল না আজিজ, বলো অন্তরঙ্গ বান্ধবী!
-অহ্ হো...আচ্ছা, একটু বোঝার চেষ্টা করো না প্লিজ। কতবার এই এক কথা বলতে চাও তুমি?
-কতবার মানে? হাজারবার বলবো, লাখ লাখ বার বলবো, তাতে তোমার কি? তোমার কি?
-আচ্ছা বল। বলতে থাক।
-বলবোই তো, তোমার ইচ্ছে মতো তো আর জীবন চলে না...
-হুম, চলে তোমার ইচ্ছেমতো।
-কি বললে? কি বললে তুমি? এত বড় কথা!!
-কই নাতো! মাত্র পাঁচটি পূর্ণ শব্দ "তোমার কথায় আমার জীবন চলে।"
-কি বলতে চাও তুমি? আমার কথায় জীবন চলে মানে?
-জীবন চলেই তো...তোমার কথা ছাড়া আমি এক পাও এগুতে পারি নাকি?
-মানে কি!! আমি তোমাকে আটকে রাখি, হ্যা ?বরং আমি তোমার কথায় ...
"দাড়ান দাড়ান ভাই। এইখানে হইতেছে টা কি!! কথা কয় কেডা?"
"এইখানে ঝগড়া হইতেছে ভাই...স্বামী-স্ত্রীর ক্যাচাল।"
"ও। আচ্ছা...এরা হুদা হুদা ঝগড়া করতাছে ক্যান?"
"খাড়ান, হুইনা লই?"
"আইচ্ছা।"
-বিয়ে করার আগে তুমি প্রেম করোনি? সব কি আমি একাই করেছি?
-হ্যা করেছ, তুমি একাই করেছ। তোমার মতো এমন ছেলে আমি আর ইহজীবনে দেখি নাই।
-তা দেখবা কেমনে? দেখবা খালি টিভি সিরিয়াল...
-এখন আমার টিভি সিরিয়াল নিয়েও টানাটানি? একটু টিভি সিরিয়াল না দেখলে আমি করবোটা কি?বাসায় বসে বসে আর কি করার থাকতে পারে আমার?
-(ওই...সিরিয়াল শুরু হয়ে গেল...)
-সকাল বেলা থেকে রাত অবধি আমার বাসায় খালি আমি থাকি...
-(হাসি)তোমার বাসায় আর কে থাকবে...?
-আজিজ! আমি সিরিয়াস কথা বলছি!!
-আচ্ছা বল।
-কি বলবো আর? আমার আর কোন কথা নাই। আরও অনেক কথা আগেই বলেছি, এবার আর বলার কিছু নাই।
-এভাবে রাগ না করলে হয় না?
-না হয় না। আমি গেলাম।
" হায় হায়, রাগ কইরা চইল্যা যাইতাছে তো!"
"হুম...তাই তো দেখতাছি...মহিলা খুবই খেপা।"
"ওই ব্যাটা বুঝাইলেই তো পারে..."
"আরে মিয়া, বুঝাইতেছে তো...লাভ হইতাছে না..."
"আহারে..."
-নীপা, প্লিজ...আচ্ছা আমি আর কোনদিন আমার মেয়ে বান্ধবিদের সাথে কথা বলবো না।
-পুরনো কথা।
-আর কোনদিন তোমার রান্না নিয়ে কথা বলবো না।
-হা হা Bad Joke...
-সামনের ছুটিতে আমরা তোমাদের বাসায় যাবো।
-জানুয়ারীতে জুনের ছুটির অজুহাত দেখিয়ো না। সরো।
-আহা নীপা শোন...আজকে অফিসে যাব না, বাসায় থাকবো।
-লাগবে না।
-নাহয় গেলামই টিএসসিতে...
-ফালতু প্যাচাল বন্ধ করো না প্লিজ! আমাকে যেতে দাও।
-নীপা, আমি তোমাকে ভালোবাসি।
"আয় হায় দেখেন ভাই, মহিলা হাসতাছে!"
"হ তাই তো দেখতাছি...মিল হইয়া গেল।"
"এই কথাটা আগে কইলেই তো আর কোন প্রবলেম ছিল না..."
"আসলেই...আগে কইলেই এত্ত কাহিনী হয় না।"
"ভাই...তয় আরেক খান কথা, লাগছিল কি নিয়া?"
"ভ্যালেন্টাইনস্ ডে নিয়া।"
"মানে?"
"আরে ভ্যালেন্টাইনস্ ডে তে মহিলারে টি এস সি তে নিয়া যাইবো না কেন হেইডা লইয়া।"
"ও...আচ্ছা ভ্যালেন্টাইনস্ ডে টা কি ভাই?"
"জানেন না? আচ্ছা, ব্লগটা বন্ধ করেন, কইতাছি..."
এই লেখার সর্বস্বত্ব লেখকের ।এই লেখা লেখকের অনুমতি ব্যাতীত প্রকাশ,মুদ্রণ,অনুলিখন কিংবা কোন রচনায় প্রকাশ করিলে লেখক আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে বাধিত হইবেন।লেখকের মৃত্যুর পর লেখাগুলির সর্বস্বত্ব লেখকের পরিবারের।
Subscribe to:
Posts (Atom)
ঘুমনামা
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি একা বসে আছি। একটা খালি মাঠের এক কোনে, বিলের পাশের নিচু ঢালে। শুয়েও পড়তে পারি, যদি ইচ্ছে হয়। তারপর কি করব জানি না। আমি অ...
-
ই উটিউবের একটা নিজস্ব ব্লগ আছে এটা হয়ত অনেকেই জানেন। অনেকে নাও জানতে পারেন। এই খানে লিঙ্ক টাতে গিয়ে ব্লগটা ফলো করে অনেক কিছুই জানতে পা...
-
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি একা বসে আছি। একটা খালি মাঠের এক কোনে, বিলের পাশের নিচু ঢালে। শুয়েও পড়তে পারি, যদি ইচ্ছে হয়। তারপর কি করব জানি না। আমি অ...